পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আরও কিছু উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশের কাছে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি বিষয়ে জানতে চিঠি দিয়েছে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং সংসদ সদস্য মো. হাবিবে মিল্লাত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের কাছে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সাংবাদিক হয়রানি ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কিছু উন্নয়ন সহযোগী আইনপ্রণেতারা।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়ায় যথাসময়ে তাদের চিঠির জবাব দেওয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয় নিরবচ্ছিন্নভাবে তদারকি করার জন্য পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেসব দেশের আইন প্রণেতাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ না হওয়ায় অর্থের বিনিময়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেও প্রভাব বিস্তার করা যাচ্ছে না। আবার সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা থাকায় বিপুল পরিমাণ অর্থও ব্যয় করা যাচ্ছে না।
ড. মোমেন বলেন, বর্তমানে বিদেশে অবস্থিত প্রবাসী বাঙালিদের কাজে লাগানোর পাশাপাশি লবিস্টদের বিষয়টিও সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে কমিটিকে জানান।